তাসমিত আফিয়াতের বাবা সরকারি চাকরিজীবী। তিনি চেয়েছিলেন, মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে পড়ুক। সেই সুযোগও মেয়ে পেয়েছিলেন। তবে ছোটবেলা থেকেই তাঁর সৃষ্টিশীল কাজে আগ্রহ। তাই ভর্তি হয়ে গেলেন চারুকলায়, গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগে।
স্বাভাবিকভাবেই বাবার সঙ্গে মন–কষাকষি হলো। আর তখনই মেয়ে ঠিক করলেন, বাবার ইচ্ছায় যেহেতু পড়ছেন না, বাবার কাছ থেকে পড়াশোনা বাবদ কোনো অর্থও নেবেন না।
তাই প্রথম বর্ষ থেকেই কাজে হাত দিলেন। পড়াশোনা শেষ করে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় ডিজাইনার ও শিল্পনির্দেশকের কাজ নেন তাসমিত আফিয়াত, কাছের মানুষেরা যাকে অর্নি নামেই চেনে বেশি। এই তাসমিতই আলোচিত সেই বিয়ের কনে। আর বর সাবিন হিন্টন। মার্কিন নাগরিক, পেশায় মার্কিন পররাষ্ট্রবিষয়ক কর্মকর্তা।
১৮ মাসের জন্য সাবিনের পোস্টিং ছিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে। সেই সময় ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর এক কমন বন্ধুর মাধ্যমে সাবিন–অর্নির পরিচয়। ছয় মাসে কয়েকবার মাত্র দেখা হয়েছে।
সাবিন বিশেষ একটা কথাবার্তা বলতেন না। সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসলেন। অর্নির ভাষায়, ‘ও সরাসরি বাংলায় প্রপোজ করল। আগে ওর সঙ্গে আমার কোনো প্রেমালাপ হয়নি। ও নাকি আমার ব্যক্তিত্বের প্রেমে পড়েছিল। ও কী বলল, সেটা বুঝতেই পাঁচ মিনিট লেগেছিল। আমি তো শুনেই “না” করে দিয়েছিলাম।’