ভৌগোলিক দিক বিবেচনায় নীলফামারী সদরে চীন সরকারের উপহারের এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি স্থাপনের উপযুক্ত স্থান বলে মনে করেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার দারোয়ানী টেক্সটাইল মিল সংলগ্ন ২৫ একর সরকারি খাস জমি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস চীন সফরে গিয়ে দেশটির সরকারের কাছ থেকে এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট একটি বিশেষায়িত হাসপাতালের প্রতিশ্রুতি পান। হাসপাতালটি নির্মাণে প্রধান উপদেষ্টা রংপুরের আশপাশে জায়গা নির্বাচন করতে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককে নির্দেশ দেন।
হারুন-অর-রশীদ বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী রংপুরের যে জায়গাটি পরিদর্শন করেছিলাম, সেটি মোটেও সন্তোষজনক না। এর পরেই নীলফামারী জেলা প্রশাসক দ্রুত এই জায়গা নির্বাচন করে আমাদেরকে প্রতিবেদন পাঠান।
“জায়গাটি পরিদর্শন করলাম। এই জায়গার সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমরা অনেকটা পজেটিভ স্থানে আছি। কারণ জেলা প্রশাসকের প্রস্তাবিত জায়গাটি নিয়ে এ পর্যন্ত কেউ দ্বিমত করেননি।”
চীন সরকারের উপহারের এই হাসপাতাল নিজ এলাকায় স্থাপন করা নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় মানববন্ধন ও ফেইসবুকে লেখালেখি করছেন সাধারণ মানুষ।
তবে এসব বিষয়কে পাত্তা না দিয়ে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, “চীন সরকারের উপহারের এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নীলফামারীতেই হবে। ভৌগোলিক ও যোগাযোগ দিক বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রথম পছন্দের জায়গা এটি, অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই।
“উপদেষ্টা মহোদয় জানিয়েছিলেন, ১০ থেকে ১২ একর জমির প্রয়োজন কিন্তু আমরা নীলফামারীর এখানে এসে দেখলাম ২৫ একর জায়গা রয়েছে। অতএব আমরা এখানে আরও সুন্দরভাবে কাজ পরিচালনা করতে পারব।”
“নিরাপত্তার দিক থেকে আমরা জানি যে, উত্তরবঙ্গের মানুষের আচার-আচরণ ভালো। এ ছাড়া পাশেই বিমানবন্দর রয়েছে এবং সড়ক পথেও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক ভালো। সবদিক থেকে যদি আমি বিবেচনা করে বলি, তাহলে নীলফামারীর দারোয়ানী টেক্সটাইল মিল সংলগ্ন স্থানটিই আমাদের প্রথম পছন্দ”, বলেন হারুন-অর-রশীদ।
এ সময় নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, সিভিল সার্জন আব্দুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাইদুল ইসলাম এবং বিএনপির জেলা শাখার সভাপতি আ খ ম আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।