স্বাস্থ্যখাতে ১৩৮.২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে চীন

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) এবং চীনের কুনমিং মেডিকেল ইউনিভার্সিটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এর মাধ্যমে চীন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে ১৩৮ দশমিক ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।

এতে দেশে উচ্চতর চিকিত্সা প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, রোবটিক সার্জারি, লিভার ও বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট চালুর সুযোগ তৈরি হবে। পাশাপাশি যৌথ গবেষণা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময়, স্কলারশিপ প্রাপ্তি ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের সম্ভাবনা উন্মোচিত হয়েছে। যা বাংলাদেশ-চীন স্বাস্থ্য সহযোগিতায় নতুন এক যুগের সূচনা হলো। 

সোমবার বিএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে ইউনান-বাংলাদেশ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা সহযোগিতামূলক প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুনমিং মেডিকেল ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক জিয়া জুয়েশান। সভাপতিত্ব করেন বিএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। 

বক্তব্য রাখেন উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক জুয়েশান বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক দুই দেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার ভিত্তি তৈরি করেছে। তিনি চীনের ঐতিহ্যবাহী চিকিত্সা ও উচ্চতর চিকিত্সা শিক্ষার দিকগুলো তুলে ধরেন।

বিএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, বিএমইউ দেশের উচ্চতর চিকিত্সা ও গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। চীনের সহযোগিতায় আমরা রোবটিক সার্জারি চালুর পাশাপাশি জটিল ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেবাও শুরু করতে পারব।

অধ্যাপক ডা. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, এই সমঝোতার মাধ্যমে গবেষণা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি স্থানান্তর, অবকাঠামো উন্নয়নসহ চিকিত্সা খাতের আধুনিকায়নে বড় ধরনের অগ্রগতি হবে।

অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বলেন, চীনের ১৩৮ দশমিক ২০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে এক নতুন মাইলফলক হয়ে থাকবে।

প্রোগ্রামে অংশ নেন কুনমিং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্যান শুয়েজুন, ইউনান চাইনিজ মেডিসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইউ জিয়ে, কুনমিং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক গুও হাইইউন, ইউনান ভোকেশনাল কলেজ অফ ফিন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্স এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট শেন ইউচিয়ং এবং বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, গবেষণা ও প্রযুক্তি উন্নয়নে চীনের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বাস্তবিক পরিবর্তন আনবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *